মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘বুড়ির মেলা’
আপডেট সময় :
শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে সদর উপজেলার গড়পাড়ার চান্দইর গ্রামে তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বুড়ির মেলা। বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার অথবা মঙ্গলবারে এই মেলা হয়ে থাকে বলে কেউ কেউ এই মেলাকে বলে থাকেন বৈশাখী মেলা।এখানে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেলা’কে ঘিরে একটি আনন্দমূখর পরিবেশ তৈরি করে। তবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই মেলা বর্তমানে বুড়ির মেলা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
শনিবার (১৩ মে) সকাল বেলা দেবী বুড়ি মায়ের পূজার মধ্য দিয়ে সূচনা হয় এই মেলার।স্থানীয়দের জানা মতে এই মেলার বয়স আড়াইশ’ত থেকে তিনশ’ত বছর।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বসেছে হরেক রকমের মিষ্টির দোকান, ঝালমুড়ি, শরবত, আচার, পান, চটপটি-ফুসকা, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন রকমের খাবারে ও হরেক রকমের মসলার দোকান । এছাড়াও মেলায় কাঠ, লোহা, বেত-বাঁশ ও মাটির তৈরি আসবাপত্র ছাড়াও এসেছে ছোটদের জন্য বিভিন্ন খেলনার দোকান ।
এক সময় এই মেলায় বিনোদনের মূল আকর্ষণ ছিল পুতুল নাচ,নয়ন ভানুর গান ও নাগরদোলাসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী মূলক বিচিত্রানুষ্ঠান। তবে বর্তমানে এর কিছুটা অন্যান্য মেলায় থাকলেও এখানে এগুলো প্রায় বিলিন হবার পথে।
মেলায় ঘুরতে আসা সুদেব সরকার বলেন, ছোটবেলায় গড়পাড়ার মেলার আগের দিন থেকেই এই মেলা উপলক্ষে আমাদের ঘুম আসতো না। কিভাবে সকালে মেলায় যাব; মেলায় গিয়ে বাদাম, ঝালমুড়ি,জিলাপি খাবো ! এই মেলার আরেকটি ঐতিহ্য ছিল এই মেলায় আমরা ঘুড়ি উড়াতাম। নানা ধরনের হাজার হাজার ঘুড়ি পাওয়া যেত।
মন্দিরের পূজারী পরেশ বাড়ই বলেন, প্রায় সাত পুরুষ এই পূজা করে গেছে। বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানের লোকজন এই পূজায় দেবি বুড়ি মায়ের কাছে মানত করতে আসেন ।
সব মেলাই কোন না কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে।মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন, ভাবের ও সংস্কৃতির মিলন ও আদান-প্রাদানই হচ্ছে মেলা। মেলাতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাগত।তবে আগে এক মাসব্যাপী মেলা চললেও কয়েক বছর ধরে এক সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে এই মেলার আমেজ।
Leave a Reply