1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি.

চার মাসের মাথায় আবারও খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স। শনিবার (৬ মে) সকাল ৮টার দিকে দান সিন্দুক খুলে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চলছে টাকা গণনার কাজ। এ কাজে অংশ নিয়েছে মাদ্রাসার শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী, ব্যাংকের অর্ধশত স্টাফ এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ দুই শতাধিক লোক।

বিজ্ঞাপনNo description available.

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি আটটি দানবাক্সে ২০ বস্তায় চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিলো। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিলো বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, শনিবার সকাল ৮টার দিকে কালেক্টরেটের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি লোহার বড় বড় সিন্দুক খোলা হয়। এগুলো থেকে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। বস্তাভর্তি টাকা মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম, শেখ জাবের আহমেদ ও সাদিয়া আফরিন, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জানা যায়, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিলো কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিলো ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে ওই এলাকায় দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দানখয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়; এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ নানা ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এ ছাড়া করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছে এ দানের টাকা থেকে।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park