নিজস্ব প্রতিনিধি.

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনয়নের চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও দলীয় নেত্রী পরিচয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকার ভাতাসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত নারীর নাম শামসুন্নাহার ছকিনা ।তিনি ভাড়ারিয়া গ্রামের ছলিমুদ্দিনের মেয়ে।

এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল)  রাশিদা আক্তার, ডালিমা, সূর্য বেগম, রোজিনা বেগম নামে কয়েকজন  ভুক্তভোগী নারী প্রতিকার চেয়ে টাকা আত্মসাতকারী শামসুন্নাহার ছকিনার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের সাবেক স্ত্রী শামসুন্নাহার ছকিনা ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধার কার্ড ও পুলিশি তদবিরের কথা বলে ও পুলিশ সুপারের নাম ভাঙিয়ে ৫৯,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন পর হলেও শামসুন্নাহার ছকিনা তার প্রতিশ্রুতি মত কিছুই দিতে পারেনি । পরে ভূক্তভূগীরা টাকা ফেরত চাইলে উল্টো শামসুন্নাহার ছকিনা তাদের  ভয়ভীতি দেখায় ও অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ।

এ বিষয়ে ভাড়ারিয়া গ্রামের ডালিমা জানান, মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য ৪ মাস আগে শামসুন্নাহার ছকিনা ৩০০ টাকা এবং সন্তানের জন্য শিশু কার্ড বাবদ ২০০০ টাকা নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্ড দেননি। তিনি আরো জানান, একই দিন তার মামী হালিমার কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৩০০০ টাকা নিয়েছেন শামসুন্নাহার ছকিনা ।

সিরাজুলের স্ত্রী সূর্য বেগম বলেন, শিশু কার্ডের কথা বলে শামসুন্নাহার ছকিনা তার কাছ থেকে ২০০০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিশু কার্ড দেয়নি। শামসুন্নাহারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উল্টো বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে শামসুন্নাহার ছকিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই রেগে যান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যত খুশি অভিযোগ হোক এতে কিছুই আসে যায় না।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল বলেন,  সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।