অতিরিক্ত সময়ের খেলার শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস বাড়ান স্টিভেন বার্গহাউস। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৯৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় ডাচরা। ফাউলের কারণে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১০০ মিনিটে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ওটামেন্ডি। এরপর আর কোন গোল না হলে সমতায় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে শুরুতেই ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১০৬ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৯ মিনিটে ডান দিক থেকে আবারও ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান শট ফ্রি কিক নিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন মেসি। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ১১২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ডাচরা। ম্যাচের ১১৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে মার্টিনেজের নেওয়া শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ম্যাচের ১১৫ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে এঞ্জো ফার্নান্দেজ শট করলে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।
টাইব্রেকারে ভ্যান ডাইকের নেওয়া শট রুখে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এরপর আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম শটে গোল করেন মেসি। ডাচদের পক্ষে স্টিভেন বার্গাসের নেওয়া দ্বিতীয় শটও রুখে দেন মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার পক্ষে দ্বিতীয় শটে গোল করেন পারাদেস। এরপর ডাচদের পক্ষে তৃতীয় শটে গোল করেন টিন কুপমিনার। এরপর আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় শটে গোল করেন মন্টিয়েল।
ডাচদের পক্ষে চতুর্থ শটে গোল করেন জাস্টিন বিজলো। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার পক্ষে চতুর্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। এরপর ডাচদের পক্ষে পঞ্চম শটে গোল করেন লুক ডি জং। এরপর আর্জেন্টিয়ার পক্ষে পঞ্চম শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন লাওতারো মার্টিনেজ। এই জয়ের ফলে সেমিগফাইনালে পৌঁছে যায় আর্জেন্টিনা। আর হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় নেদারল্যান্দ।
Leave a Reply