1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:৩১ অপরাহ্ন

সাগরপথে অবৈধভাবে ইতালি যাত্রায় তৃতীয় বাংলাদেশীরা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট.

লিবিয়া থেকে ইতালি পৌঁছানোর জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতেই একেকজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর খরচ হচ্ছে আড়াই হাজার ইউরো (প্রায় আড়াই লাখ টাকা) থেকে তিন হাজার ইউরো (প্রায় তিন লাখ টাকা)। এ বছর অবৈধভাবে সাগরপথে ইতালিতে পৌঁছে আশ্রয় চাওয়া বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষ তিনে আছে মিসর, তিউনিশিয়া ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১১ হাজার ২৯ জন বাংলাদেশী সাগরপথে ইতালি পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ৭১ হাজার ৭৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগরপথে ইতালি পৌঁছেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের ওই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার জন বেশি।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাগরপথে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে মিসরীয় ২২ শতাংশ। এরপর আছে তিউনিশীয় ২০ শতাংশ ও বাংলাদেশি ১৫ শতাংশ। মিসরীয়দের ৮৯ শতাংশ লিবিয়া থেকে এবং বাকিরা তুরস্ক থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সাগরপথে ইতালিতে পৌঁছানো বাংলাদেশীদের প্রায় সবাই লিবিয়া থেকে যাত্রা করে।

সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো ব্যক্তিদের রুট প্রসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বলেছে, তারা পূর্ব লিবিয়া থেকে রওনা হয়েছে। বেনগাজি থেকে তবরুক, মিসর সীমান্তের কাছে উম্মে সাদ থেকে তারা রওনা হয়েছে। তাদের ৮০ শতাংশই সিসিলি উপকূলে পৌঁছে। বাকিরা পৌঁছে ক্যালাব্রিয়াতে। তারা মূলত মাছ ধরার নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে। বড় নৌকাগুলোতে প্রায় ৫০০ যাত্রী তোলা হয়েছে। কাঠের ছোট নৌকাগুলোতে ৩০ জন পর্যন্ত যাত্রী তোলা হয়েছে। প্রধানত বাংলাদেশিদের ছোট নৌকায় করে নেওয়া হয়েছে। ছোট নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিতে তাদের আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত দিতে হয়েছে।

সিরীয়দের দেশির ভাগই সিরিয়ার দারা এলাকার। দামেস্ক থেকে সরাসরি বা বৈরুত হয়ে তারা ফ্লাইটে করে বেনগাজি পৌঁছে। এরপর তাদের সাগরযাত্রার আগে উত্তর লিবিয়ায় ‘সেফ হাউসে’ অল্প কিছুদিন রাখা হয়েছিল। মিসরীয়দের বেশির ভাগই ইউরোপে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগের ঘাটতিকে দায়ী করেছে। তারা ফ্লাইটে কায়ারো ও আলেকজান্দ্রিয়া থেকে বেনগাজি পৌঁছেছে অথবা স্থলপথে এল সালুম সীমান্ত ক্রসিং ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশীরা সাধারণত লিবিয়ায় পৌঁছেছে ফ্লাইটে করে।

ইউএনএইচসিআরের হিসাব অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৭১৩ জন পুরুষ ও চারজন নারী। এ ছাড়া ৩১২ জন শিশুর ২৮৮ জনই অভিভাবকহীন। বাংলাদেশ ছাড়াও মিসর ও সিরিয়া থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবকহীন শিশু রয়েছে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের অনেকে সহজে আশ্রয় পেতে নিজেদের বয়স ১৮ বছরের কম বলে দাবি করে। তারা বাংলাদেশ বা নিজ নিজ দেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে রওনা হয়। লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় তারা পাসপোর্ট ফেলে দেয়। এতে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোও কঠিন হয়।

সম্প্রতি ইতালিতে কয়েক শত বাংলাদেশী তাদের বয়স কম দেখিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার দাবিতে দূতাবাসে হামলা চালায়। তাদের স্বজনরা পাসপোর্টের দাবিতে ঢাকায় অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সাগরপথে ইতালিতে পৌঁছার পর তারা নিজেদের যে বয়স বলেছিল সে অনুযায়ী পাসপোর্ট দিতে হলে একেকজনের বয়স পাঁচ, ১০ বছর বা তারও বেশি পরিবর্তন করতে হবে। এতে তাদের আগের পাসপোর্টের তথ্যের সঙ্গে বড় ধরনের গরমিল দেখা দেবে। এ ছাড়া ইতালিতে ‘বোন টেস্টের’ ব্যবস্থা আছে। সেটি করা হলে ওই ব্যক্তিদের প্রকৃত বয়স বেরিয়ে আসবে। এতে বাংলাদেশকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park