নিজস্ব প্রতিবেদক.

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল রাতে চট্টগ্রামে ষোলশহরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় এক প্রবাসীসহ নব্য জেএমবির ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)। অভিযোগপত্রে সবাইকে নব্য জেএমবির সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন প্রবাসী রয়েছেন। তবে ওই ঘটনায় ২০ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হলেও চারজনের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে আপাতত তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। গ্রেফতাররা হলেন মো. সাইফুল্লাহ (২৪), মো. এমরান (২৪), আবু সালেহ (২৫), মো. আলাউদ্দিন (২৩), মহিদুল আলম (২৫), মো. জহির উদ্দিন (২৮), মো. মঈনউদ্দিন (২৩), রহমত উল্লাহ (২৪), সাহেদ হোসেন (২৪), মো. সেলিম (৩৩), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (২৪) ও এক কিশোর। পলাতক দেখানো হয়েছে– কায়সার উদ্দিন (২১), মো. মোরশেদুল আলম (২৫) ও দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহানকে (২৮)

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এক বিস্ফোরনে দুই ট্রাফিক পুলিশসহ পাঁচ জন আহত হন । বিস্ফোরণে বক্সটিতে থাকা সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড ধ্বংস হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)। এরপর থেকে ঘটনায় জড়িত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এমরানসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মতাদর্শী নব্য জেএমবির সদস্য। আসামি নোমান সংগঠনটির আমিরের দায়িত্বে ও সেলিম সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তবে নোমান ও সেলিমের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম বলেন, ষোলশহর ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণের মামলায় ১৬ জনকে আসামি করে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ধার্য তারিখে অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে