কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিত্রাংয়ের কারণে কৃষকের রোপনকৃত ফসল ভুট্টা,সরিষা,ধান,মাসকলাই ও ধনিয়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাধাকপি ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজি প্রায় সবই নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে কৃষকের ঘরে সপ্তাহ খানেক পরেই উঠবে রোপা আমন ধান। অতিবৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই আধাপাকা ধানও শুয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে।
ভূট্টা চাষী রশিদ মিয়া বলেন, জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছিলাম। অতিবৃষ্টির কারণে ওই ভুট্টা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব চারা মরে যাবে। কয়েক বিঘা ভুট্টার আবাদ করেছিলাম। এতে প্রায় তার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিলো।
ভাদুটিয়া গ্রামের রেহাজ উদ্দিন বলেন, আর ১০-১২ দিন পর ধান কাটব। সেই আধা পাকা ধান ঝরে পরে পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে থাকা বেশির ভাগ ধান পচে যাবে। এতে আমার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হবে।
আঃ মালেক নামের আলু চাষী বলেন, জমিতে আলু লাগানোর পরদিনই ঝড় । আলু ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে । সব আলু পচে নষ্ট হয়ে যাবে।আবার নতুন করে জমি চাষ করে আবাদ করতে হবে ।পশ্চিম মকিমপুর গ্রামের কৃষক আলম হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে চড়া মূল্য দিয়ে সার কিনে সরিষা বুনেছিলাম। একদিনের বৃষ্টিতে সেই সরিষা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, সিত্রাংয়ের ঝড়ের কারণে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। শুরুতেই এক বিঘা ধান বুনতে কৃষকের খরচ হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এক বিঘা ভুট্টা বুনতে খরচ হয় ৭ থেকে৮ হাজার টাকা ও এক বিঘা সরিষা বুনতে খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। একদিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কুষকের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
Leave a Reply