বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সকালে তিনি ঢাকা থেকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনা এবং মোংলায় যান। কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের বিএনপি নেতা মাজেদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও জিরাবুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং বাকি আহত সকল নেতার সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপিক নার্গিস ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মিজানুর রহমান খান, থানা বিএনপি’র আহবায়ক মশিয়ার রহমান,যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম শহীদ, থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, থানা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, হুমায়ুন কবির সুমন, থানা বিএনপি নেতা আলমগীর কবির বিশ্বাস প্রমুখসহ বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। পরে রিজভী খুলনার ফুলতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দলের আহত ৪৮ জন নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে কুশল বিনিময় ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি যশোরের মনিরামপুরে পাঁচজন আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন।
খুলনার আহত নেতাদের অন্যতম হলেন, আবুল বাশার, আনোয়ার, মফিজ চেয়ারম্যান ও বাবু এবং মনিরামপুরের আহতরা হলেন- আব্দুর রহিম শেখ ও মমতাজুল ইসলাম প্রমুখ। ফুলতলায় এসময় উপস্থিত ছিল খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা সভাপতি আমির এজাজ খান, সাধারন সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ। পরে মোংলায় আহত ১৪ জনের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ নেন।
এসকল স্থানে রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আহত নেতাকর্মীদেরকে দেখতে এসেছি। যারা গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে প্রশাসন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন তাদেরকে দেখতে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসলে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় আছে দেশের জনগণ। জনগণ তাকে ত্যাজ্য করেছে। যে কারণে তারা জোর জুলুম চালাচ্ছে।আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করে রিজভী বলেন, আমাদেরকে আরও তেজোদীপ্ত ও শক্তিশালী হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
রিজভি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় হামলা সত্ত্বেও খুলনায় বিএপির গণসমাবেশ সফল হয়েছে। এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকারের ইশারাতে বাস মালিকরা হরতাল ডাকেন। তারপরও এই সমাবেশ সফল হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেটে, ভ্যানে, ট্রেনে এবং নৌকায় করে সমাবেশস্থলে আসেন। এ সময় খুলনার প্রতিটা সড়কের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় শতশত নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। তাই এ সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবব্ধ হয়ে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।
Leave a Reply