1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:২০ অপরাহ্ন

নিত্যপণ্যে অস্বস্তি;নাগালের বাইরে মাছ-মাংস

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট.

বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের  গতি। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আবারও বেড়ে গেছে মোটা চাল চিনির দাম। একদিকে চালচিনি অন্যদিকে সবজির বাজারেও আগুন। এছাড়া ক্রমেই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছমাংস। দাম কমার আশাতেও রাজ্যের নিরাশা। বাজারে গিয়ে হতাশ হচ্ছে মধ্যবিত্ত নিন্মআয়ের মানুষ। 

সরেজমিনে রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা ও বিএনপি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে লেয়ার ২৮০ টাকা, সোনালী ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতো।

এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম গত কয়েকমাসের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

চালের দোকান ঘুরে জানা গেছে, মোটা চালের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্নআয়ের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এক সপ্তাহ আগেও খুচরায় যে চালের দাম ছিল ৫২-৫৪ টাকার মধ্যে, সেই চাল কিনতে আজ গুনতে হচ্ছে ৫৬-৫৮ টাকা। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, বাজারে অধিকাংশ দোকানে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল নেই।

ওই বাজারের চা বিক্রেতা হোসেন রোকন বলেন, ১০ কেজি চাল কিনতে গেলে একদিনের রোজগারের টাকা পুরোপুরি শেষ। প্রতি সপ্তাহে একদিনের রোজগারের টাকা চালের পেছনেই চলে যায়। ফলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, কলিজাও মাংসের দামে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। গরুর ভ্যাপসা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মাছের বাজার চড়া।

মুরগি কিনতে আসা খোকন শেখ বলেন, গরুর মাংসের যেই দাম তা তো আর কিনে খেতে পারি না। ব্রয়লার মুরগি খাবো তার দামও অনেক। ১২০ টাকার ব্রয়লার ২ থেকে ৩ মাস ধরে প্রায় ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর মাছের বাজারেও আগুন। শাকসবজি খেয়েই দিন পার করব সে পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে তরকারির দাম।

আগারগাঁও বাজারের টাঙ্গাইল স্টোরের সবুজ শাহীন বলেন, কোম্পানিগুলো চিনির দাম আরও বাড়াবে, সেজন্য সরবরাহ একবারে কমিয়ে দিয়েছে। পাইকারি বাজারে চাহিদা দিলেও আগের দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।

তালতলা বাজারের ব্যবসায়ী জাফর ফরহাদ বলেন, মৌসুমের শেষ, এ জন্য পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই ১-২ টাকা করে বাড়ছে। প্রতিবছর এ সময় পেঁয়াজের দাম আরও চড়া থাকে। এ বছর সেই তুলনায় দাম অনেক কম। আর ডিমের দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park