প্রতি উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৬২টি, আর ভোটকক্ষ রয়েছে ৯২৫টি। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে ভোটারদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ এসেছে ইসিতে। সেটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বরিশাল জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩১ জন ভোটারকে আটকে রাখার অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন যথাযথভাবে সচল রাখার স্বার্থে এবং ভোটারগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য ভোটকেন্দ্রসংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত স্থগিত করেছে। আর ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ অবস্থায় আজ ৫৭টি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অর্থাত্ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিল বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও পাঁচ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করেন।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছে অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত জন সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র্যাবের একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বৃহত্তর ১৯টি জেলায় দুই প্লাটুন ও অন্যান্য জেলায় এক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হয় গত ২৩ আগস্ট। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে এ তপশিল ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে দেশে প্রথম বারের মতো ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় ১৯ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
Leave a Reply