তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা শাখার ওসি আলমগীর কবীর ও জেলা রিজার্ভ অফিসের (আরওআই) আব্দুল বারেক। তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এটিএসআই আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মিলন হোসেন ও বেনজির নাহার। তাদেরকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রোববার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে জেলা কারাগার থেকে পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে হাজতি আজিজুল শেখসহ অন্যান্য আসামিদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসে। সেখান থেকে কোর্ট পুলিশের কাস্টডিতে আসামিদের নামানোর সময় পুলিশবেষ্টনীর মধ্য থেকেই হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজুল শেখ। রোবরাব রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
পুলিশ জানায়, পলাতক ওই হাজতির আজিজুল শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় এলাকায়। তার বাবার নাম ফজল শেখ।
২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের তক্কেল আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় গৃহকর্তা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজিজুল শেখ সেই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।
আজিজুল শেখ ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। সোমবার আদালতে তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাতকড়া খুলে হাজতি পালানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনকার্য দিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কর্তব্যে অবহেলায় অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply