অভিযুক্তরা হলো উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের বড়বাঁকা গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র ইমন (২৩), জহিরুল ইসলামের পুত্র রিফাত (১৮) ও মৃত অছিমুদ্দিনের পুত্র জসিম (২৬)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে একা পেয়ে অভিযুক্তরা মিলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী কৌশলে তাদের কবল থেকে ছুঁটে গিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। সন্ধ্যার পর এলাকার গণ্যমান্যরা মিমাংসার কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত ইমন, রিফাত ও জসিমকে ডেকে আনে। এ সময় উত্তেজিত জনতা জসিমকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। অপর দুইজন অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শবর্তী ইমনদের ঘরে আশ্রয় নেয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । থানায় যাওয়ার পথে বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশের পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে। সেই সাথে জনৈক পৌর কাউন্সিলরকেও লাঞ্চিত করে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, “ এঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকেও ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ”
তিনি আরো জানান, “ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ীতে নয়, আসামীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়েছেন ।”
Leave a Reply