বিশ্ব ডিম দিবস আজ; দেশে বার্ষিক উৎপাদিত হয় ২ হাজার ৫৭ কোটি ডিম
আপডেট সময় :
শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২
ডেস্ক রিপোর্ট.
দেশে প্রতি বছর ডিমের চাহিদা যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উৎপাদনও। বাংলাদেশে মোট যে পরিমাণ ডিম উৎপাদিত হয়, তার মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ উৎপাদন করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচিত খামারগুলো। দেশের ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ ডিম আসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামার থেকে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের ঋণসুবিধার পাশাপাশি মুরগি পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার তাগিদ পোলট্রি বিশেষজ্ঞদের।
ডিম উৎপাদন বাড়ায় দেশে মানুষের ডিম খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমাণ ছিল ১২১টির বেশি।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে এখনো ডিম খাওয়ার পরিমাণ আমাদের চেয়ে অনেক কম। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর সানডে ক্রনিকলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে মাথাপিছু ডিম খেয়ে থাকে ৩০টি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এই সংখ্যা ১৮০টিতে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর চেয়েও অনেকটা এগিয়ে ২০৩১ সাল নাগাদ ডিমের মাথাপিছু কনজাম্পশন ১৬৫টি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত লেয়ার খামারের সংখ্যা ২০ হাজার ৪৬৪। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি। আর সর্বশেষ হিসাবে গত বছর দেশে ২ হাজার ৫৭ কোটিরও বেশি ডিম উৎপাদন হয়েছে। এর আগের বছরগুলোর তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ সালে ডিমের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৫৫২ কোটি, ২০১৮-১৯ সালে ১ হাজার ৭১১ কোটি, ২০১৯-২০ সালে ১ হাজার ৭৩৬ কোটি।
সরকারি এই পরিসংখ্যানে ডিম বলতে পোলট্রি ডিম, দেশি মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম, কোয়েল ও কবুতরের ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) দেওয়া তথ্যমতে ডায়মন্ড এগ ১৪ থেকে ১৫ লাখ, কাজী ফার্মস ১২ থেকে ১৪ লাখ, প্যারাগন পোলট্রি সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ, নর্থ এগ সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ ডিম দৈনিক সরবরাহ করতে পারে। এছাড়া আরো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা দিনে লাখের বেশি ডিম সরবরাহ করে। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব জুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।
Leave a Reply