ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীর ডালিয়া ও সিংড়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতে তিস্তাপারে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নদীতে পানি বাড়ায় তিস্তাপারের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে তিস্তার চর এলাকায় কয়েক হাজার একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ইচলি চর, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সিন্দুর্ণা, কালীগঞ্জের ভোটমারী ও কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ও পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোঙ্গাডারা, রাজপুর ও গোকুণ্ডায় পানি ঢুকছে। এতে কৃষকদের কয়েক হাজার একর ধানক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপত্সীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদৌলা জানান, ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বুধবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টিপাত আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে মৌসুমি বায়ুর শেষ ধাক্কায় বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবুল মল্লিক জানান, গত শুক্রবার (আজ) রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাকি বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুর ও রাজারহাটে, ৪৫ মিলিমিটার। শ্রীমঙ্গলে ৩৯, দিনাজপুর ৩২ ও সৈয়দপুরে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পরবর্তী দুই দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
Leave a Reply