নিহত ওসমানের ভাগিনা মোহাম্মদ শামীম বলেন, বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার মামা, তার দোকানের কর্মচারী ছৈয়দ নুর ও মামার বন্ধু হাবিবুল্লাহ ওরফে সুন্দরসহ পাঁচ/ছয় জন ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমনটা দেখে আমি ঘুমাতে যাই। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে মামার রুমে লাইট জ্বলছে দেখে তা নেভাতে কক্ষে আসি। এসে দেখি এলোমেলো বিছানায় মামার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের একটি সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের দিকে নিহত ওসমানের পুরো পরিবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপরে কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় বসবাস শুরু করে। ছোট বেলা থেকে ওসমান জড়িয়ে পড়েন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। এক বছর আগে মায়ের মৃত্যুর পর ছিনতাই ছেড়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এলাকায় ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে আগের তিনটি মামলা পাওয়া গেছে। এছাড়া নিহত যুবক অবিবাহিত, মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেও আমরা অল্প মদসহ মদপানের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ আলামত সংগ্রহ করেছে। পূর্বের ছিনতাইকারী গ্রুপ, নারী সংক্রান্ত জটিলতাসহ সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এই হত্যার কারণ, কে বা কারা এর পেছনে জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছি। আশা করছি শিগিগরই এই ঘটনার ক্লু উৎঘাটন করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply