শরৎ মানেই কাশফুল। আর কাশফুল মানেই নদী কিংবা অন্তহীন নীল আকাশ। আকাশ মানেই মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে উড়াউড়ি।
যুগে যুগে শরতের শুভ্র কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। কাশফুলে শুভ্রতা পুলকিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তাই কাশফুলের শুভ্রতায় মেতে উঠেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করতোয়া নদী পাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা কাশবনে। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে নদীর কলতান, শুনশান বালুচর, সাদা মেঘ ও কাশফুলের মিতালী উপভোগ করতে প্রতিদিনই ঐ কাশবনে ভিড় করছেন অসংখ্য প্রকৃতিপ্রেমী নানা বয়সের মানুষ।
উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নে করতোয়া নদীর চরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রতিবছর শরতে দেখা মেলে কাশফুলের। প্রতি বছরের মতো এবারও ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে নদীর পাড়। দূর থেকে দেখে মন হয় যেন সাদা চাদরে মোড়ানো চরাঞ্চল। কাশফুলের শুভ্রতা আর নদীর কলতানে প্রকৃতির এক অপার লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে চরাঞ্চলটি।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সৌন্দর্যের কথা ছড়িয়ে পড়ায় আশেপাশের জেলার অংসখ্য দর্শানার্থীর ভিড় বাড়ছে। শরতের মৃদু হাওয়ায় মোহনীয় রূপে দুলে ওঠা কাশফুলের মধ্যদিয়ে ঝকঝকে নীলাকাশে সাদা মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
কেউবা নদীর কোল ঘেঁষে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করছেন কাশবনের সৌন্দর্য। কেউবা কাশফুলের স্মৃতি ধরে রাখতে নিজেকে ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-সন্তান পরিবারের লোকজন নিয়ে দলে দলে আসছেন কাশফুল দেখতে। প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা।
বিরামপুর উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এর আগে এত কাশফুল আমি একত্রে দেখিনি। কাশফুলের সৌন্দর্যে মোহিত তিনি।
নবাবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছরই সেখানে কাশফুলে ছেয়ে যায়। কাশফুলের অনাবিল সৌন্দর্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। তাই অংসখ্য দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন।
Leave a Reply