পাশাপাশি মা ইলিশের বিচরণ নিরাপদ রেখে প্রজননের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের প্রবৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য এ বছর সরকার নির্ধারিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের ঐ ২২ দিন দেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সব প্রকার নৌযানের ইলিশসহ যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সময়কালে প্রতি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে নিষেধাজ্ঞার সময় নিবন্ধিত মা ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত ৩ লাখ ৭১ হাজার ১২১ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে মোট ৬ হাজার ১শ ৪৩ টন চাল দেওয়া হবে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনিবন্ধিত প্রায় সোয়া লাখ পরিবার। আর বরাদ্দকৃত চালের পুরোটা না পাওয়া ও উৎকোচ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে নিবন্ধিত জেলেদের।
জেলে চান্দু মিয়া জানান, এবছরে নদীতে তেমন একটা ইলিশ ছিলো না তাই মৌসুমজুড়ে আয়ও তেমন একটা করতে পারেননি। হাতে জমা টাকা না থাকায় সামনের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তার খুব কষ্ট করে চলতে হবে পরিবার-পরিজন নিয়ে। তার ওপর তিনি নিবন্ধিত জেলে না হওয়ায় পাননা খাদ্য সহায়তা। কারণ মাছ শিকার করে আদতে তারা জেলে হতে পারেননি।
বরিশাল মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, প্রজননের এ সময়টাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারত ও মায়ানমারও যদি নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে সুফল সবাই মিলে ভোগ করতে পারবে। কিন্তু এখন আমাদের দেশে যখন নিষেধাজ্ঞা তখন ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করতে পারে। এমনকি আমাদের সীমানায় এসেও মাছ শিকার করে বলে অভিযোগ জেলেদের। এতে মূলত আমাদের দেশের জেলেসহ মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মৎস্য অধিদফতর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, চাল বিতরণে কিছু জায়গাতে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়, তবে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা এবং প্রশাসন চেষ্টা করছি এগুলোও সমাধান করতে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মৎস্য অধিদফতর, নৌ-বাহিনী, কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র্যাবসহ মাঠ প্রশাসন সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে।
Leave a Reply