1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:২১ অপরাহ্ন

চিনির দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক.   

চিনি উৎপাদন ও বিপণনকারী কম্পানিগুলোর সমিতি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে চিনির নতুন করে দাম নির্ধারণের আবেদন জানিয়েছে। তারা বলছে, সরকার চিনির যে দর নির্ধারণ করেছে, সেই দামে বিক্রি করলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তারা।

চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকেও (বিটিটিসি)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থা দর পর্যালোচনা করে।

কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আখতার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চিনি বিপণনকারীদের আবেদন তাঁরা পেয়েছেন। আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিটিটিসি গত ২২ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দাম বেঁধে দেওয়ার কথা জানায়। প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ৮৪ টাকা ও পরিশোধিত প্যাকেটজাত খোলা চিনির দাম ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। নতুন দামের চিনি খুচরা বাজারে আসতে সপ্তাহখানেক সময় লাগার কথা। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় বাজারে প্রতি কেজি কিছুটা কম ৮৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে।

সরকার দাম বেঁধে দিলেও ক্রেতাদের ওই নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি চিনিতে বেশি দিতে হচ্ছে চার থেকে ছয় টাকা। এরই মধ্যে চিনি উত্পাদন ও বিপণনকারী কম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে। বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর কেজিপ্রতি আরো দুই টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গত ১১ আগস্ট চিনির দাম নির্ধারণের জন্য আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর সভা হয়। এতে ডলারের দাম কত ধরা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে চিনির দামও নির্ধারণ করা হয়নি।

চিনি বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত্ সাহা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে দামটি জানানো হয়েছে, তা যথাযথ হয়নি বলে নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত এপ্রিল-জুন সময়ে বিশ্ববাজারে চিনির দাম ছিল প্রতি টন ৪৩০ মার্কিন ডলার, যা গত সেপ্টেম্বরে ৩৯০ ডলারে নামে। বিপরীতে এ সময়ে বাংলাদেশে দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সময়ে দেশে ডলারের দাম অনেকটাই বেড়েছে।  এ কারণে আমদানিতে বাড়তি খরচ পড়ছে।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৪ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার টনের মতো দেশীয় আখ থেকে উত্পাদিত হয়। বাকিটা আমদানি করা হয়। দেশীয় কম্পানিগুলো অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park