নিজস্ব প্রতিনিধি.
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি মিটিংয়ের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হলসমূহ সিলগালা করার সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ছেলেদের হল সিলগাল করার নির্দেশনা থাকলেও হলে থেকে শিক্ষার্থীর বের হতে সময় লাগে। তবে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল সিলগালার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ধাপে ধাপে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সিলগালা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিক, সহকারী প্রক্টর নূর মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, মো. জাহিদ হাসানসহ হলগুলোর প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটররা।
হল সিলগালা প্রসঙ্গে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দ্বারা যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার ফলস্বরূপ বর্তমানে গুমোট একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেহেতু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি চলছে এসময় যেন আর অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই আজকে সকালে উপাচার্য মহোদয়ের নেতৃত্বে ইমার্জেন্সি একটি মিটিংয়ে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আসে। সেজন্যই মূলত নির্দেশনা মোতাবেক হলগুলোতে সিলগালা করা হয়েছে। এ কাজে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। ’
এর আগে রবিবার সকাল ৯টার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উদ্ভূত সমস্যার প্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে হল সিলগালা’র সিদ্ধান্ত আসলে এই সিলগালা সম্পন্ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলো আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অস্ত্র মহড়া এবং মোটরসাইকেল শোডাউন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত হল সিলগালা করা, ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সকল পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
Leave a Reply