মানিকগঞ্জে বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে প্রবাসীর স্ত্রী
আপডেট সময় :
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মুহাম্মাদ রমজান মাহমুদ, মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে পড়ে অর্ধলাখ টাকা খোয়ালেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী বৃষ্টি আক্তার সৌদি প্রবাসী সাগর মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, চক্রের কথামতো নিজের বিকাশ একাউন্ট সচল রাখতে পাশ্ববর্তী চামটা এলাকার সেলিমের বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থেকে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা করে দুইবার নিজের পার্সোনাল নম্বরে নেন বৃষ্টি আক্তার। এরপর একটি এসএমএস পাঠিয়ে তার সংখ্যাটি জানতে চান প্রতারক চক্র। সংখ্যাটি জানিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর চক্রের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি তার বিকাশ একাউন্ট চেক করে দেখেন তার ব্যালেন্স শূণ্য। এভাবে প্রতারক চক্র পূর্বের ৯হাজার ৫০০ টাকাসহ মোট ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভূক্তভোগী বৃষ্টি আক্তার জানান, শুক্রবার সকাল দশটার দিকে ০১৩২৪৮৩৫২২১ নম্বর থেকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোন রিসিভ করলে অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, আমার কিছু টাকা ভুল করে আপনার নম্বরে চলে যাওয়ায় আমি আপনার নামে বিকাশ হেড অফিসে অভিযোগ করেছি। বর্তমানে আপনার লেনদেন বন্ধ আছে। লেনদেন পুনরায় শুরু করতে চাইলে হেড অফিস থেকে স্যার আপনাকে যা বলবে সেটা করবেন নয়তো আপনার একাউন্ট আর কখনই সচল হবেনা। তার কথায় বিকাশে থাকা নয় হাজার পাঁচশত টাকা নিয়ে চিন্তায় পরে যাই। কিছুক্ষণ পর ০১৮৩৫৬১৫৯৭৯ নম্বার থেকে আরেকটি কল আসে আমার মোবাইলে। তিনি নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ করতে হলে যে কোনো এজেন্টে থেকে আপনার বিকাশ নম্বরে কিছু টাকা নিতে হবে আবার তা ফেরত দিতে হবে। বিকাশ হেড অফিসের কথিত সেই কর্মকর্তার কথা অনুযায়ী পাশ্ববর্তী এলাকার বিকাশ এজেন্ট সেলিম আঙ্কেলের কাছে গিয়ে আমার বিকাশ নম্বরে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা দিতে বলি।
এসময় সেই বিকাশ কর্মকর্তা আবারও অনুরুপ টাকা আমার বিকাশ নম্বরে নিয়ে তা আবার দোকানদারকে ফেরত দিতে বলেন। আবারও ২৪ হাজার ৭০০ টাকা আমার একাউন্টে সেন্ড করে এবার দোকানদারকে সমস্ত টাকা ফেরত নিতে বলি। দোকানদার টাকা ফেরত নিতে গিয়ে দেখে একাউন্ট ব্যালেন্স শূণ্য।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply