1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল মজলুম কারাবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জে মাদক উদ্ধার অভিযানে হামলার শিকার ডিবি; আটক ২ মানিকগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অনিহা ও জুতা পায়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী আজ মানিকগঞ্জে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার হেরোইনসহ আটক ৩ মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি মেজবা, সম্পাদক বাহার মানিকগঞ্জে নীতিমালা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ স্ত্রীর করা মামলায় কারাগারে স্বামী শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ মানিকগঞ্জে মাটির নিচ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট.

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চোখ ওঠা’ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। যা আসলে চোখের কনজাংটিভার প্রদাহজনিত সমস্যা। বেশির ভাগ চোখ ওঠাই ভাইরাসজনিত। এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচেও। কিন্তু কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে চোখের কিনারে পুঁজ জমতে পারে ও সমস্যা জটিল হতে পারে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোখের কনজাংটিভাইটিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। তবে অ্যালার্জি, ঠান্ডা সর্দি বা চোখ কোনো রাসায়নিক বা ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে এলেও কনজাংটিভায় প্রদাহ হয় এবং চোখ লাল দেখায়। ভাইরাসজনিত চোখ ওঠায় পাতলা বর্ণহীন পানি পড়ে বেশি। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত হলে নিঃসরণটি ঘন ও একটু হলদেটে হয়ে থাকে।

লক্ষণ

চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, অনেক সময় চোখের পাতা ফুলে যায়, কারও চোখের কর্নিয়া আক্রান্ত হলে তার দৃষ্টি ঝাপসা হয় এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

যেভাবে ছড়ায়

চোখে ভাইরাস দিয়ে প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। যখন এই অশ্রু মুছতে যাই, তখনই এটি হাতে এসে যায়। এরপর সেই হাত দিয়েই আমরা যা কিছুই ছুঁই না কেন, সেখানে ভাইরাস চলে আসে। যেমন কারোর সঙ্গে করমর্দন, টিভি-এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদিতে চলে আসতে পারে। এ জন্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময়ে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত জিনিসপত্রও কিছুটা আলাদা রাখা ভালো।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া হোক আর না হোক, এটি বেশ কয়েক দিন পর এমনিতেই সেরে যায়। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরবর্তী এক-দুই সপ্তাহ রোগী অন্যকে এই রোগ ছড়াতে পারেন।

 তাই এই সময়ে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি

চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অপরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করা যাবে না এই সময়ে কালো চশমা পরা যেতে পারে, এতে বাইরের ধুলাবালু বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বাইরের পানি দিয়ে ঝাপটা দেওয়া যাবে না চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে বরফ দেওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খাওয়া উচিত হাত না ধুয়ে যখন-তখন চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়াতে হবে কর্নিয়ায় প্রদাহ হলে, সময়মতো চিকিৎসা না নিলে, স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। এমনকি কর্নিয়া সংযোজনের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park