1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:২০ অপরাহ্ন

পাঁচ দেশ থেকে হবে খাদ্য আমদানি 

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নিউজ ডেস্ক.

রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম এই পাঁচ দেশ থেকে খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য মজুত সন্তোষজনক হলেও আগামী নভেম্বর থেকে খাদ্যে টান পড়তে পারে এই আশঙ্কা থেকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সার্ক দেশগুলো থেকে খাদ্য আমদানির প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে

গতকাল রবিবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। তাই এ নিয়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনো কারণে আমদানির জন্য নির্ধারিত পাঁচটি দেশের কেউ যদি খাদ্যশস্য দিতে অপারগ হয়, তখন যাতে কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত কিছু খাদ্যশস্যও কিনে সহনীয় মাত্রায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা যাচাই করে নিয়েছি রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো রকমের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্যের মজুত আছে। গত দু-এক দিনে চার-পাঁচ টাকা করে চালের দাম কমেছে। খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার ফলে অনেক মানুষ বাজার থেকে সরে গেছেন। এটি ভালো ফল দিচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য আমাদের গোডাউন থেকে যাবে, সে পরিমাণ খাদ্য এবং সেফটির জন্য আরও অতিরিক্ত কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন যে চুক্তি বা এমইউ হয়েছে তার জন্য খাদ্য সংকট হবে না ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ থাকবে, সেটা থাকছে। সেটার কারণে আমনের সেচ ভালো হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় একটু সমস্যা হচ্ছে হয়তো, খাল-বিলে পানি একটু কম। তবে সুবিধা হলো, যেখানে খাল-বিলে পানি কম, সেখানে টি-আমনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সময়সূচি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘হেলাফেলা করা যাবে না’ । নতুন সময়সূচি চালু হওয়ার পর অনেকেই সময়মতো অফিসে আসেন না বা আসতে পারে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গতকাল (শনিবার)  বন্ধের দিনও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। সময়সূচি নিয়ে কোনোভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। সকাল ৮টার মধ্যেই অফিসে উপস্থিত হতে হবে, আর বিকাল ৩টার আগে কোনোভাবেই বের হতে পারবে না।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park