মোঃ মনিরুল ইসলাম.
শুধুমাত্র সুনাম আর গুণগান গেয়ে নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার মাধ্যমেই তার প্রতি সম্মান জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন,“ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি তার জীবনের একটা বড় অংশ জেলে কাটিয়েছেন। ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তার সে স্বপ্ন বাস্তনায়নে আমাদের কাজ করতে হবে। সুনাম গেয়ে নয়, অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে।”
অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, সরকারবিরোধী চক্র নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মহামারি পরবর্তী সময় ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল। বিশ্বজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। পেট্রলের দাম চারগুণ বেড়েছে, খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি দ্রুত সময়ে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। আগামী দিনে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনা সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এখনো সক্রিয়। তারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমাদের ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তা চায় না। দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে এখনো ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় আছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই আমাদের সবার সতর্ক হবে। কোনোভাবেই তাদের বিজয়ী হতে দেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, “ আমাদের স্বাস্থ্যখাত অনেক এগিয়ে গেছে। এর অবদান অনেকাংশেই বঙ্গবন্ধুর। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে স্বাস্থ্য খাতে অনেক কাজ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠা করা। শেখ হাসিনা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। স্বাধীনতার সময় দেশে মাত্র ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল, কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল না। সেখানে আজ বেসরকারি মেডিকেলই ৭২টি, সরকারি ৩৮টি, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৫টি। এছাড়া স্বাস্থ্যের বিভিন্ন শাখার জন্য একাধিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এক সময় দেশে কোনো নার্সিং ইনস্টিটিউট ছিল না। এখন অনেক নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এর ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খেয়েছে সেখানে আমরা সফলতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছি। মহামারি মোকাবিলায় আমরা বিশ্বে পঞ্চম এবং এশিয়ায় প্রথম হয়েছি।”
Leave a Reply