1. admin@deshprokash24.com : Admin : Asraful Islam
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ন

দেশে শিশুমৃত্যুর হার কমাবে ‘স্ক্যানু’

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

আব্দুল আল রাকিব, মানিকগঞ্জ.

দেশে এক সময়ে নবজাতকের মৃত্যুর হার হাজারের শতকের কাছাকাছি থাকলেও বর্তমানে ৩০ জন। এই সংখ্যা আরও কমাতে দেশের ৫০টি জেলায় চালু করা হয়েছে বিশেষায়িত স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট (স্ক্যানু)। এর মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। No description available.

১৩ আগস্ট শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের স্ক্যানু উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে এখনো হাজারে ৩০ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু এসডিজি অর্জন করতে হলে এটি ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানু কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্ক্যানু উদ্বোধন করলাম। যারা আমাদেরকে স্ক্যানু দিয়েছে, তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ইউনিসেফ, ইউএসএআইডি, সেভ দা চিলড্রেন আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। আমরা ৬৪ জেলার মধ্যে ৫০ টিতে স্ক্যানু স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। আশা করি খুব দ্রুতই বাকিগুলোতে স্থাপন হয় যাবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা কালীন সময়ে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দেশের সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিটটি মূলত আইসিইউর মতো কাজ করে। সেখানে শিশুদের যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়, এটি আমরা নিশ্চিত করব। একজন নবজাতক শিশু ওই সময়টাতে কথা বলতে পারে না। তারা নির্ভর করে অনেকটা মা আর পরিবেশের ওপর। এখন যেহেতু স্ক্যানু সিস্টেম থাকছে, সেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে, যে কারণে শিশু মৃত্যুর শঙ্কা কমে যায়।’ No description available.

নামকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘স্ক্যানুকে আমরা শেখ রাসেলের নামে উৎসর্গ করলাম। সারা দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই রাসেলের নামে স্ক্যানুর নামকরণ করা হবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর মধ্যে যেখানে যেই অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটি ব্যবস্থা করব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সরকারের এসডিজি অর্জনে এই স্ক্যানু কাজ করবে। তবে, এটা ঠিক যে যে কোনো কিছু উদ্বোধনও শুরু করা সহজ, কিন্তু সেটা ধরে রাখা কঠিন। আমরা চেষ্টা করব স্ক্যানুটা যেন হারিয়ে না যায়, যন্ত্রপাতি যেন নষ্ট হয়ে না পড়ে থাকে।

স্ক্যানু চালুর ফলে ঢাকামুখী রোগীদের ভিড় কমাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আবারও চাপ বেড়ে যাবে। আমরা অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করব যেন সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রমটি চলমান থাকে।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘নবজাতকের সেবায় স্ক্যানু দারুণ ভূমিকা রাখবে। আমরা দেখি যে, দেশে প্রতি এক হাজার নবজাতকের মধ্যে ২৮ দিনের মধ্যে ১৮ শতাংশই মারা যায়। ১৮ শতাংশ ২ থেকে ৮ দিনের মধ্যে মারা যায়।’

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ৫০টি হাসপাতালে স্ক্যানু চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১৪টি জেলায় নেই, দ্রুত আশা করছি বাকিগুলোতেও দ্রুত চালু হয়ে যাবে। স্ক্যানুর চেয়ে মাদার স্ক্যানুটাও জরুরি, শুধু স্ক্যানু নয়। মাদার স্ক্যানুতে মায়ের সঙ্গে থাকবে শিশু। এতে শিশু সুরক্ষিত থাকবে, নার্স কম লাগবে, চিকিৎসক কম লাগবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মঝে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ প্রকাশ 24

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা/সংবাদ, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।

Theme Customized By Shakil IT Park