মানিকগঞ্জে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
আপডেট সময় :
বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
রফিক খাঁন,মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মনির হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর এই পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়।
গেল দুই দিন আগে হাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন এবং নতুন কমিটি গঠিত হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদ বঞ্চিত সভাপতি পদপ্রার্থী জালাল মিয়া তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে হট্টগোল করেন। নেতারা চলে যাওয়ার পর তারা মঞ্চ, চেয়ার এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুর করে। এসময় চেয়ারম্যানকে উল্লেখ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দুষ্কৃতিকারীরা। মূলত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মনির হোসেন পদত্যাগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র থেকে এমনটাই জানা গেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে মনির হোসেন বলেন, গত ১৭ জুলাই হাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল হয়। এতে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেদিনই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলীকে সভাপতি, আতোয়ার মাস্টারকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুরুর রহমান মুন্নুকে সাধারণ সম্পাদক এবং জালালকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি পদ প্রার্থী জালাল মিয়া তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে হট্টগোল করেন। নেতারা চলে যাওয়ার পর তারা মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। তারা আমাকে গালিগালাজ করেন এবং হাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেন। জালালের ধারণা, আমার পছন্দের লোককে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তার এই ধারণা সঠিক নয়। আমি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
মনির হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং টানা তিন বারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “ গত ১৭ জুলাই হাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি প্রার্থী জালাল মিয়া তার অনুসারীদের নিয়ে আমাকে অপমান ও ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এর প্রতিবাদে আমি জেলা প্রশাসক বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।”
এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও জালাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ বলেন, “ বিষয়টি শুনেছি তবে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তার পদত্যাগ পত্রটি উপজেলা নির্বাহী পরিচালক বরাবর করার কথা। তার অভিযোগপত্র জমাদানের প্রক্রিয়াটি আইনসিদ্ধ হয়নি।”
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, “ পদত্যাগপত্রটি জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা হয়েছে। আমাকে অনুলিপি দিয়েছেন। আমি সেটা গ্রহণ করেছি। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।”
Leave a Reply