অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলবেন যেসব বিষয়
আপডেট সময় :
শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক :
যদিও বর্ষাকাল, এদিকে গরমের ধরন আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে গ্রীষ্মের কথা। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীরে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো সাধারণ সমস্যা হলেও কিছু সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হতে হবে আপনাকেই।
গরমেযেসবসমস্যাহতেপারে
* শরীরে সোডিয়াম কমে যাওয়া
* শরীরে পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়া
* বমির সমস্যা শুরু হওয়া
* খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া ও পেট ফাঁপার সমস্যা
* ডায়রিয়া
* আমাশয়
* জ্বর।
গরমে নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। গরমের কারণে কোনো অসুখের সৃষ্টি হয় তবে সবার আগে নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। কারণ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে খাবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গরমে সুস্বাস্থ্যের জন্য ও সঠিক পুষ্টি পেতে খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ের প্রতি। যেমন-
বাইরেরখাবারনাখাওয়া
গরমে বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। কারণ বাইরের খোলা শরবত, ফলের রস, আখের রস ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্টি হতে পারে ডায়েরিয়া, আমাশয়ের মতো সমস্যা। এসময় কেবল ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
বিশুদ্ধপানিপানকরুন
গরমে সুস্থ থাকতে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করুন। শরবত, ফলের রস ইত্যাদি ঘরেই তৈরি করে খান। যেসব শাক-সবজিতে পানির পরিমাণ বেশি, সেগুলো খাবেন। সেইসঙ্গে মৌসুমী সব ধরনের ফল খাবেন। এসময় কোনোভাবেই যেন শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
গরমেযেসবফলবেশিখাবেন
গরমে পানিশূন্যতা এড়াতে ডাব, বেল দিয়ে তৈরি শরবত ইত্যাদি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে আম, কাঁঠাল, জামরুলহ অন্যান্য মৌসুমী ফল খাবেন। সব ধরনের ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে খাওয়ার উপযোগী করে নেবেন।
যেসবখাবারবাদদেবেন
গরমে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার বাদ দেবেন। কারণ এগুলো খেতে ভালোলাগলেও সৃষ্টি করতে পারে বদ হজমের। গরমে মশলাদার মাংসের তরকারি, ভুনা, ভাজি, পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে খেতে পারেন ঝোলযুক্ত তরকারি, টক দই, করলার ঝোল, লেবুর শরবত, সালাদ, সাদা ভাত, রসালো ফল ইত্যাদি।
আরামদায়কপোশাকপরুন
গরমে খাবারের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়ে। যেমন গরমে পরতে হবে আরামদায়ক পোশাক। এক্ষেত্রে সুতির পোশাক ও হালকা রং বেছে নেবেন। এতে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। যাদের হাঁটার অভ্যাস আছে তারা সকালে না হেঁটে সন্ধ্যার পরে হাঁটতে বের হবেন। এসময় অতিরিক্ত হাঁটা, শরীরচর্চা, অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত গোসল করুন। পরিচ্ছন্ন থাকুন।
Leave a Reply